আগামী বছর (২০২৬ সালে) বাংলাদেশ থেকে পবিত্র হজ পালন করতে পারবেন ৭৮ হাজার ৫০০ জন মুসল্লি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দুই দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং সৌদি আরবের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সে দেশের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী ড. তৌফিক বিন ফাওজান আল রাবিয়াহ।
হজ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও আলোচনা
চুক্তি স্বাক্ষরের সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সামগ্রিক হজ ব্যবস্থাপনা ও প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ধর্ম উপদেষ্টা ড. খালিদ হোসেন সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রীকে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনার অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
তিনি হজের সময় মিনা, আরাফা ও মুজদালিফায় তাঁবু ব্যবস্থাপনা, পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন সুবিধা আরও উন্নত করার অনুরোধ জানান। সৌদি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ধর্ম সচিব মো. কামাল উদ্দিন, সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দেলোয়ার হোসেন, সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ড. হাসান মানাখারা, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুল্লাহ বিন জাফর এইচ বিন আবিয়াহ, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আয়াতুল ইসলাম, জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন, যুগ্ম সচিব (হজ) ড. মঞ্জুরুল হক এবং কাউন্সিলর (হজ) মো. কামরুল ইসলাম।
হজের সময়সূচি ও নিবন্ধন
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৬ সালের ২৬ মে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সৌদি আরবের রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী বছরের হজের নিবন্ধন ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে হজ পালনের কোটা ছিল এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন, তবে এবার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন ৭৮ হাজার ৫০০ জন হজযাত্রী।
বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনার অগ্রগতি
গত কয়েক বছর ধরে হজযাত্রীদের সেবা ও ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিবন্ধন, ই-ভিসা, ফ্লাইট সমন্বয়, মেডিকেল টিম ও মোবাইল অ্যাপ চালু করার ফলে হজ প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়েছে।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৬ সালের হজ মৌসুমে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে যাত্রী পরিবহন, খাদ্য ব্যবস্থাপনা এবং চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রম আরও সমন্বিতভাবে পরিচালিত হবে।
