ভোরে নাওডোবায় ককটেল বিস্ফোরণ, সড়ক অচল
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকায় ভোরে সড়ক অবরোধ, ট্রাকে অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশের গাড়িতে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল প্রায় ৬টার দিকে ভাঙা–ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের নাওডোবা অংশে এই সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ঘোষিত ‘লকডাউন’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভোরে মিছিল বের করে এবং মিছিলে অংশ নেওয়া দুর্বৃত্তরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
পুলিশের গাড়িতে ককটেল নিক্ষেপ
খবর পেয়ে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার গাড়িতে ককটেল নিক্ষেপ করে। এতে গাড়ির সামনের কাচ ভেঙে যায়।
পুলিশ জানায়, জীবন বাঁচাতে কিছুটা পিছু হটতেই দুর্বৃত্তরা কাছের তস্তারকান্দি এলাকায় একটি চিনিবোঝাই ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ঢাকা–ভাঙা এক্সপ্রেসওয়ে সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল।
সামাজিক মাধ্যমে অস্ত্র হাতে মিছিলের ভিডিও
আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের মিছিলের ৩৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়—
শতাধিক ব্যক্তি লাঠিসোঁটা হাতে মিছিল করছে এবং সামনে থাকা এক ব্যক্তির হাতে স্পষ্টভাবে ককটেল রয়েছে।
পুলিশের বক্তব্য
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ওসি গোলাম রসুল বলেন,
“সকাল ৬টার দিকে খবর পাই কিছু দুষ্কৃতকারী সড়ক অবরোধ ও ককটেল বিস্ফোরণ করছে। আমরা গেলে আমাদের গাড়িতে ককটেল ছোড়া হয়। পরে দুর্বৃত্তরা একটি ট্রাকে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।”
তিনি জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন,
“একটি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ ও মিছিলের ভিডিও আমাদের নজরে এসেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যান চলাচল এখন স্বাভাবিক।”
ফরিদপুর–গোপালগঞ্জেও সহিংস কর্মসূচি
লকডাউন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ঢাকা–খুলনা ও বরিশাল মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করা হয়।
ভোর থেকেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঢাল, তলোয়ার, রামদা, টেঁটাসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেন এবং স্লোগান দেন।
এ ছাড়া গোপালগঞ্জে গণপূর্ত বিভাগ ও গ্রামীণ ব্যাংকের একটি শাখায় পেট্রল বোমা নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছে।
