জুলাই সনদকে কেন্দ্র করে অন্তর্বর্তী সরকারের বড় সিদ্ধান্ত
রাজনৈতিক দলগুলোর সই করা জুলাই সনদকে মূল নীতিদলিল হিসেবে গ্রহণ করে অন্তর্বর্তী সরকার আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ অনুমোদন করেছে।
স্বাক্ষর শেষে আদেশটি গেজেটে প্রকাশের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জানান।
আজ দুপুর আড়াইটার পর তাঁর ভাষণ প্রচার শুরু হয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য—“ঐতিহাসিক অর্জন”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ঐকমত্য কমিশনের প্রণীত সনদে সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অভূতপূর্ব ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে।
এটিকে তিনি একটি ঐতিহাসিক অর্জন হিসেবে অভিহিত করেন।
তিনি আরও জানান—
“কিছু প্রস্তাবে সামান্য ভিন্নমত আছে। অল্প কিছু প্রস্তাবে আপাতদৃষ্টিতে মতপার্থক্য বড় মনে হলেও গভীরে গেলে তা ততটা নয়। কেউ চান সংবিধানে সংস্কার হোক, কেউ চান আইনের মাধ্যমে। কিন্তু সংস্কারের প্রয়োজন, নীতি ও লক্ষ্য—এসব বিষয়ে কারও মতভেদ নেই।”
তার মতে, রাজনৈতিক দলগুলো প্রকাশ্যে যতটা পরস্পরবিরোধী অবস্থান দেখায়, জুলাই সনদ বিশ্লেষণ করলে সেই পার্থক্য ততটা তীব্র নয়।
নির্বাচন সামনে, সম্পূর্ণ প্রস্তুতির কথা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন,
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন—
“নির্বাচনকে উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক এবং সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, রাষ্ট্রের সংস্কার প্রক্রিয়া এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
