ব্যাংকক, থাইল্যান্ড: কম্বোডিয়ার সঙ্গে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে থাইল্যান্ডে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে শ্রীলংকা থেকে ১০ হাজার শ্রমিক নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এছাড়াও বাংলাদেশ, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইন থেকেও শ্রমিক নেয়ার বিষয়ে পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির।
দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, থাইল্যান্ডের মন্ত্রীসভা ইতিমধ্যে ১০ হাজার শ্রীলংকান শ্রমিক আনার বিষয়টিতে অনুমোদন দিয়েছে। কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্তে সংঘাতের কারনে অনেক কম্বোডিয়ান শ্রমিক ফেরত যাওয়াতে একটি শ্রমিক সংকট তৈরী হয়েছে।
থাইল্যান্ডের বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান এছাড়াও কর্মঠ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা সীমিত। এ কারনে দেশটিকে বিদেশি শ্রমিকের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এর তথ্যানুসারে থাইল্যান্ডে ৩০ লাখ নিবন্ধিত বিদেশি শ্রমিক রয়েছে যারা কৃষি, নির্মান এবং ম্যানুফেকচারিং শিল্পে নিয়োজিত।
থাইল্যান্ডের শ্রম মন্ত্রী পংকিউইন জাংরুংগ্রুয়ানকিত জানিয়েছেন, শ্রীলংকা থেকে ৩ হাজারের বেশি শ্রমিক আবেদন করেছেন। প্রথম ধাপে ১০ হাজার শ্রমিক আনা হবে। এই প্রক্রিয়ায় নেপাল, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইন থেকেও শ্রমিকরা আবেদন করতে পারবেন।
গত মাসে থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া সীমান্তে সংঘর্ষ শুরু হলে প্রায় ৪৩ জন নিহত হন। এই যুদ্ধে প্রায় ৩ লাখ লোককে সরিয়ে নিতে হয় সীমান্ত থেকে। বর্তমানে দুটি দেশ যুদ্ধ বিরতিতে রয়েছে। সংঘাত শুরুর আগে ৫ লাখ ২০ হাজার কম্বোডিয়ান শ্রমিক থাইল্যান্ডে কর্মরত ছিল। যা দেশটিতে বিদেশি শ্রমিকের ১২ শতাংশ। কম্বোডিয়া সরকার জানিয়েছে সংঘাত শুরু পর থেকে ৪ লাখ কম্বোডিয়ান শ্রমিক দেশে ফিরে গিয়েছে।
