সৌদি আরব কর্তৃক নির্ধারিত কোটার কারণে মিসর থেকে হজে যেতে হলে আবেদনকারীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। সাধারণত পাঁচ থেকে সাত বছর আগে থেকেই শুরু করতে হয় নিবন্ধনের প্রক্রিয়া। আবেদন শেষে নাম নির্বাচিত হয় লটারির মাধ্যমে, যেখানে শর্তসাপেক্ষে স্বামী-স্ত্রী বা বাবা-মা–সন্তান একসঙ্গে হজে যেতে পারেন। কিন্তু ভাই-বোনের ক্ষেত্রে এমন সুযোগ নেই।
এমন পরিস্থিতিতেই ঘটেছে এক বিরল ঘটনা—লটারির মাধ্যমে ২০২৬ সালের হজের জন্য একসঙ্গে নির্বাচিত হয়েছেন তিন ভাইবোন। মিসরের রাজধানী কায়রোয় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হজ লটারিতে এই তিনজনের নাম পরপর ঘোষণা করা হলে অনুষ্ঠানস্থলে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রথমে বোনের নাম ঘোষণার পর বড় ভাইয়ের নাম আসে। মুহূর্তেই তিনি সিজদায় পড়ে কেঁদে ফেলেন কৃতজ্ঞতায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই উচ্চারণ করা হয় দ্বিতীয় বোনের নামও। পরিবারজুড়ে আনন্দের কান্না আর আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ে ভরে ওঠে অনুষ্ঠানস্থল।
সৌদি সরকারের কোটা অনুযায়ী, হজের অনুমতি পেতে প্রতি বছর মিসরের লাখো মানুষ আবেদন করে, কিন্তু সীমিত সংখ্যক মানুষ সুযোগ পান। তাই এক পরিবারের তিন ভাইবোনের পরপর নির্বাচিত হওয়াকে অনেকে দেখছেন “দুর্লভ সৌভাগ্য” হিসেবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, এই ঘটনাটি মিসরে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অনেকেই একে “আল্লাহর বিশেষ রহমত” হিসেবে উল্লেখ করছেন এবং ভবিষ্যতের আবেদনকারীদের জন্য আশার প্রতীক হিসেবে দেখছেন।
